রাস্তায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করার অনুরোধ তাসরিফের

রাস্তায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করার অনুরোধ তাসরিফের

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর রীতিমতো পালটে গেছে সারাদেশের চিত্র। দেশে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতির অভাবে একরকম নিজ কাঁধেই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর দায়িত্বে মাঠে নেমেছে ছাত্ররা। বলা বাহুল্য, পুরোটাই বিনা স্বার্থে, দেশের জন্য করছেন তারা।

রাস্তায় চলাচলকারী অনেকেই ছাত্রদের এই কাজে অনেকটাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা রাস্তায় থাকা এ সকল স্বেচ্ছাসেবী ছাত্রদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন।

বিষয়টি যেন কোনভাবে বিশৃঙ্খলার দিকে না গড়ায় সেজন্য জনসাধারণকে ছাত্রদের ব্যাপারে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলেন তরুণদের প্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার ও গায়ক তাসরিফ খান।

‘সততা শিখতে চাইলে চলুন ছাত্রদের থেকেই শিখি’ শিরোনামে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘রোদের মাঝে রাস্তায় ট্রাফিকিং এর দায়িত্বে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটাকে বিরিয়ানি আর পানির বোতল দিতে গিয়ে শুনলাম “ভাইয়া আমি বিস্কিট আর পানি খেয়েছি একটু আগে, যারা খায়নি আপনি তাদের কে দিন”। অথচ রাস্তায় ছাত্রদের ট্রাফিকিং নিয়ে খেয়াল করলাম কেউ কেউ সামান্য বিরক্তি প্রকাশ করছেন। আবার কোথাও কোথাও ছাত্রদের সাথে দুর্ব্যবহার করছেন অনেকে।’

তাসরিফ লেখেন, ‘দেখুন এই ছেলেমেয়েরা বয়সে অনেক ছোট হলেও ওরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচিউরিটির পরিচয় দিচ্ছে। যে কাজটা আমি আপনি সো কল্ড সুশীলরা করতে সাহস পাইনি, ওরা সেটা করে দেখিয়েছে। যেভাবে ওরা রাস্তায় জীবন দিয়েছে ঠিক একই ভাবে এই রাস্তার ট্রাফিকিং এর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। এমনকি পুরো দেশটাকে ওরা রঙিন করার চেষ্টা করে চলেছে।’

শেষে তাসরিফ লেখেন, ‘ওরা যেটা করছে সেটা সম্পূর্ণ দেশ প্রেম এর জায়গা থেকে আর আমরা শুধু মুখে বলি কিন্তু কাজের বেলায় আটআনাতেও নাই। মাঝে মাঝে আফসোস থেকে মনে হয় আমরা ১৬ বছর বোবার মত সহ্য করলাম আর এখন ১৬ দিনেই কেমন হাঁপিয়ে উঠছি।’

ছাত্র আন্দোলনের সেই শুরু থেকেই সরব ছিলেন তাসরিফ খান। সামাজিক মাধ্যমে একাধিক পোস্টে একের পর আন্দোলনে থাকা ছাত্রদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এসেছেন তিনি। রাস্তায়ও নেমেছেন তাদের সঙ্গে।

এর আগে গত সোমবার (৫ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে ভক্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন এই গায়ক। বলেছিলেন,’আজকে যদি আমি-আপনি ছাত্রদের পক্ষে, ছাত্রদের সাথে না বের হয়ে ঘরে বসে থাকি, তবে নিজেকে আর কোনোদিন আমরা ক্ষমা করতে পারবো না।’

 

আপনি আরও পড়তে পারেন